Header Ads

Header ADS

৮৩৩ হিজরির ভয়াবহ মহামারি






৮৩৩ হিজরি। মিসরে দেখা দেয় ভয়াবহ মহামারি। একের পর এক লোক মারা যেতে থাকে। তখন মিসরের আসকালানে বাস করেন জগদ্বিখ্যাত হাদিস বিশারদ ইমাম ইবনে হাজার আসকালানি রহ.।
মহামারিতে আক্রান্ত হন স্বয়ং ইবনে হাজার আসকালানির বড়কন্যা যাইন খাতুন। তিনি সন্তানসম্ভবা ছিলেন। কিন্তু হায়, মরণঘাতি মহামারি কেড়ে নেয় তার প্রাণ!
মনে বড় ব্যথা লাগে ইমাম ইবনে হাজার আসকালানির। কন্যার বিয়োগব্যথায় ব্যথিত হয়ে তিনি মহামারির মর্যাদা ও মাহাত্ম্য নিয়ে সাড়ে চারশতাধিক পৃষ্ঠার একটি কালজয়ী কিতাব রচনা করে ফেলেন। নাম 'বাজলুল মাউন ফি ফাজলিত তাউন'।
তিনি কিতাবের এক জায়গায় লিখেন--
'কোনো কোনো মহামারি সংঘটিত হয় শীতকালে। আবার কোনোটা গৃষ্মকালে। তবে কালের আবর্তে, মুসলিম দেশগুলোতে সংঘটিত হওয়া মহামারিগুলোর বেশিরভাগ মহামারিই সংঘটিত হয়েছিল বসন্তঋতুতে। এবং দিনদিন তা প্রকট আকার ধারণ করেছিল। অত:পর গৃষ্মকালের শুরুতেই নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল।'
ইমাম ইবনে হাজার আসকালানি তার কিতাবের মধ্যে মহামারির মর্যাদা ও মাহাত্ম্য সংক্রান্ত যেসব হাদিস উল্লেখ করেছেন, তন্মধ্যে অন্যতম হলো হজরত আবু হুরাইরা রা.-এর বর্ণিত হাদিস। রাসুল ﷺ বলেন--
যে ব্যক্তি মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে, সে শহিদ। (সুনানে আবু দাউদ)
পুনশ্চ : এখন কিন্তু বসন্তঋতু চলে। সে হিসেবে, ইবনে হাজার আসকালানির কথানুযায়ী, করোনাভাইরাসও গৃষ্মকাল পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন, আমিন।





সূত্র : বাজলুল মাউন ফি ফাজলিত তাউন : ৩৬৯, ইমাম ইবনে হাজার আসকালানি।

No comments

Powered by Blogger.