মা অন্যের কাছে হাত পেতনা
মানুষের দেখা-শোনা খুব বিস্তৃত। এবং সেগুলোর মধ্যে শিক্ষনীয় অনেক
উপাদান থাকে। মানুষ চাইলেই তা থেকে ¯^ীয় জ্ঞানপিপাসা
নিবারণ করতে পারে। সংগ্রহ করতে পারে আগামী
জীবনের পাথেয়। প্রিয় বন্ধুরা! চলো, তোমাদেরকে একটা
ঘটনা বলি! যাতে তোমরাও নিবারণ করতে পার তোমাদের জ্ঞানপিপাসা, খুঁজে পাও
জীবনের পাথেয়।
একদিন এশার নামাযের পর মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলাম। তখন দেখতে পেলাম একজন
দুঃখিনী মা তাঁর শিশুকে কোলে নিয়ে মসজিদের সামনে বসে আছে। শিশুটি খুবই মায়াবী।
তাকে দেখে আমার ভিতরে একটি অনুভ‚তি জাগলো। বিষয়টি ছিল খুবই আশ্চর্যের। মহিলাটি
মুসল্লীদের কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাতছিল। কিন্তু শিশুটি বারবার তাঁর ছোট্ট হাত
দিয়ে তাতে বারণ করছিল। কখনো তার মায়ের হাত সরিয়ে দিয়ে। কখনো তাঁর উপর শুয়ে পড়ে।
কিন্তু মহিলাটি শিশুর বাঁধা উপেক্ষা করে তার কর্মে অবিচল। শিশুটি যেন বলতে চাচ্ছে “মা! অন্যের
কাছে হাত পেতনা।
বিষয়টি দেখে আমাদের প্রিয় নবী (সঃ) এর সেই মূল্যবান
বাণী মনে পড়ে গেল। তিনি বলেছেন, “তোমরা মানুষের প্রতি নির্মোহ হও; যদিও তা হয়
মিসওয়াক ধোয়ার পানি। (তাবরানী কবীর:১১/৪৪৪(১২২৫৭)
এই হাদীস দ্বারা স্পষ্ট নববী শিক্ষা রয়েছে যে অপরের কাছে হাত পাতা এটা
ইসলামের বৈশিষ্ট্য নয়। নবীর শিক্ষা, করো না ভিক্ষা।
মেহনত করো সবে। তাই একজন উম্মতে মুহাম্মাদী হিসেবে অন্যের কাছে হাত পাতা কারো
জন্যই উচিৎ নয়। মহান রব্বুল আলামীন এ ছোট্ট শিশুর হৃদয়ে একথা গেঁথে দিয়েছেন।
পরিস্থিতির শিকার হয়ে মানুষের মাঝে কতো পরিবর্তন ঘটে! আহ!
অথচ (লা সামাহাল্লাহ) পরিবেশের
প্রভাবে সেও একসময়...।
mashallah
ReplyDelete