Header Ads

Header ADS

ইসলাম





ইসলাম সর্বযুগের জন্য সর্বোত্তম জীবনব্যবস্থা। একমাত্র তার দ্বারাই পৃৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। আল্লাহ ও তার রাসূলের দেখানো পদ্ধতিকে ছেড়ে দিয়ে কোনো মানুষের বানানো পন্থায় ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। যেমন গণতন্ত্র।
আজ বহু মুসলিম পশ্চিমা সভ্যতা দ্বারা প্রভাবিত। ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করা সত্তে¡ও পশ্চিমাদের উৎকৃষ্ট মনে করছে। নিজেদের চালচলন তাদের মতো করার চেষ্টা করছে। নিজের আনন্দ ও বেদনা তাদের মাঝে খোঁজার চেষ্টা করছে। মানুষ তার অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য কুরআনকে ছেড়ে তাদের মতাদর্শ গ্রহণ করছে। ইসলামী আইন ব্যবস্থার প্রতি আস্থাহীন হয়ে তাদের আইন ব্যবস্থাকে শান্তির দূত মনে করছে। পশ্চিমা বিশ্বকে শান্তি প্রতিষ্ঠার কর্তা মনে করছে। এমনকি তাদের পছন্দকে নিজের পছন্দ মনে করছে। নিজের সন্তানকে তাদের মতাদর্শের উপর গড়ে তুলছে। তাদের উন্নতির আশায় দেশের কর ফাঁকি দিচ্ছে। তাদের সামান্য ভালো কাজকে অনেক বড় ধন্যবাদ দেওয়ার উপযুক্ত মনে করছে। তাদের দ্বারা পৃথিবীর বিশাল ক্ষতিকে সামান্য ভুল বলে উড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজের দ্বীন ধর্মকে বিসর্জন দিচ্ছে। আজ আমরা মুসলিমরা আমাদের অস্তিত্বকে ভুলে গিয়ে অন্যের প্রতি নত হচ্ছি। নিজেদের ঈমানী শক্তিকে সমুদ্রের অতল গহŸরে ডুবিয়ে দিচ্ছি, যার প্রতি আমাদের কোনো ভ্রæক্ষেপ নেই। যাকে আমরা রীতিমতো ¯^াভাবিক মনে করছি। আমরা একে অন্যের সাহায্যে আসার পরিবর্তে একে অন্যকে বিপথগামী করছি। একে অন্যকে সৎ কাজের সহযোগীতার পরিবর্তে অসৎ কাজে উদ্বুদ্ধ করছি। এটাতো আমাদের সভ্যতা ছিলো না। ইসলাম তো আমাদের এটা শিক্ষা দেয় না। ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয় অন্যের দুঃখে দুঃখী হতে। অন্যের বিপদে সাধ্যমত সাহায্য করতে। পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেদের জান-মাল খরচ করতে। নিজেদের পোশাকে শালীনতা বজায় রাখতে। যার কারণে পৃথিবীর শত শত বৎসরে শাসনভার আমাদের হাতেই ছিলো। একমাত্র আমরাই ঐশী গ্রন্থ কুরআনের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলাম। জগৎকে সভ্য নগর ও সুনাগরিক উপহার দিতে পেরেছিলাম। যখনই আমরা আমাদের সভ্যতা থেকে দূরে সরে গিয়েছি এবং কুরআনী আইনকে ছেড়ে দিয়েছি তখনই আমরা আমাদের ঐতিহ্যকে হারিয়ে অন্যের গোলামে পরিণত হয়েছি। আমাদের বীরত্বগাঁথা সাহসীকতা হারিয়ে পরাধীনতাকে মাথা পেতে নিয়েছি। আজ আমরা পশ্চিমা সভ্যতাকে শান্তির বাণী মনে করছি। যা আমাদেরকে শিক্ষা দেয় নিজে সমৃদ্ধশালী হও। অন্যকে পিছনে ফেলে নিজে অগ্রসর হও। যার ফলে দরিদ্ররা দরিদ্র থেকে যায়। একদল আরাম আয়েশে দিনাতিপাত করছে আর আরেকদল ডাস্টবিনে কুকুরের সাথে খাবার ভাগাভাগি করছে। একদল হাসপাতালে এসি নষ্টের কারণে চিৎকার করছে আর অন্যদল রাস্তার পাশে ধূলাবালুর মাঝে জরে পুড়ে মরছে। এই হলো তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। আর ইসলাম বলে তুমি একাই নিজের উদর পূর্ণ করো না অন্যকেও তাতে ভাগ দাও। যাতে সে অনাহারে দিনাতিপাত না করে। নিজের সম্পদ একাই ভোগ করো না বরং তাতে অন্যের জন্যেও একটি অংশ রেখে দিও যাতে করে এমন সা¤্রাজ্য গড়ে উঠে যেখানে কোনো ক্ষুধার্ত ব্যক্তি ক্ষুধার যন্ত্রণায় অন্যায়ের পথে ঝুঁকবে না। এটাই হলো ইসলামী শিক্ষা যার ফলে গড়ে উঠেছিল সেই সোনালী দিন যাতে শাসন করেছিল উমর রা. এর মতো নিষ্ঠাবান শাসক। যার ফলে একই ঘাটে ছাগল আর বাঘের পানি পানের মতো দৃশ্য অবলোকন করা সম্ভব হয়েছিল। মানুষ প্রতিবেশীর সাথে সৎ ব্যবহার করতে শিখেছিল। অন্যের সম্পদকে অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করা থেকে বিরত থাকা সম্ভব হয়েছিল। পৃথিবী সভ্য নগরীতে পরিণত হয়েছিল। কঠোর শত্রæকেও বন্ধুতে পরিণত করা সম্ভব হয়েছিল। আজ আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যদি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্রের দিকে দৌঁড়-ঝাঁপ না করে ইসলামী নীতির দিকে ধাবিত হতাম তাহলে এক ভাই অন্য ভাইকে সম্পদের জন্য হত্যা করতো না। কোনো ব্যক্তি সুদ, ঘুষের দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করতো না। কোনো নেতা রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করতো না।
অতএব আমাদের ইসলামের প্রতি অগ্রসর হওয়া দরকার। আর এটা তখনই সম্ভব হবে যখন আল্লাহর ভয় অন্তরে রাখবো। আল্লাহর আযাবকে ভয় করবো।

No comments

Powered by Blogger.